মাধ্যমই বার্তা । The Medium is the Message
মাধ্যমই বার্তা Medium is the message : মার্শাল ম্যাকলুহান
বাক্যটি যোগাযোগ শিক্ষায় প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।
১৯৬৪ সালে মার্শাল ম্যাকলুহান ( www.marshallmcluhan.com ) তাঁর Understanding Media গ্রন্থে এ ধারণাটি ব্যাখ্যা করেন। একসময় মানুষ মনে করতো মাধ্যম নয় মাধ্যমের বার্তাই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধারণাটি কে প্রথম চ্যালেঞ্জ করেন মার্শাল ম্যাকলুহান। তিনি বলেন, বার্তার চেয়ে বাহন শক্তিশালী।
বার্তার বিষয়ের চেয়ে বাহনই শক্তিশালী এ ধারণাটি প্রকাশ করতে তিনি medium is the message বাক্যটি ব্যবহার করেন।
ব্যাখ্যা :
Medium is the message বাক্যটিকে যোগাযোগ গবেষকগণ তিনটি অর্থে ব্যাখ্যা করেছেন। যথা-
১. প্রতিটি মাধ্যমই তার নিজের কিছু গ্রাহক বা সাব্সক্রাইবার তৈরি করে ফেলে। আর গ্রাহকরা মাধ্যমে যা দেখানো হয় তা কোনরূপ বিবেচনা না করে তা গ্রহণ করে। যেমন -অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা টেলিভিশনে সময় ব্যয় করতে পছন্দ করে। এখানে টিভি দেখা অথবা ইন্টারনেট চালানোটাই মুখ্য। এখানে কি দেখানো হয় তা গৌণ।
Know More….যোগাযোগ কি? বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যোগাযোগের সংজ্ঞা
২. বার্তার কাঠামো নির্ধারিত হয় মাধ্যম দ্বারা। মাধ্যমই ঠিক করে দেয় কী এবং কিভাবে বার্তা প্রচার করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সংবাদপত্রে আমরা চলমান ভিডিও দেখি না কারণ খবরের কাগজে থাকে স্থির চিত্র।
আবার রেডিও তে সংবাদপত্রে থাকা স্থির চিত্রও দেখতে পাই না। এক্ষেত্রে বার্তাগুলো ভিন্ন কাঠামোয় আমাদের সামনে আসে। সুতরাং, মাধ্যমের দ্বারাই বার্তার কাঠামো নিয়ন্ত্রিত হয়।
৩. মাধ্যমভেদে আমাদের স্নায়ুর উপর বার্তার প্রভাব আলাদা হয়। ফলে মাধ্যমের ভিন্নতার কারণে অডিয়েন্সের কাছে একই বার্তা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যেমন – ইন্টারনেটে , টেলিভিশন দেখা সবাক চিত্র এবং সংবাদপত্রে দেখা স্থির চিত্র আমাদের স্নায়ুর উপর আলাদা প্রভাব বিস্তার করে।
লেখক : শিক্ষার্থী
৪র্থ বর্ষ (২১ তম ব্যাচ)
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
No comments