ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য
মো: সাইফুল ইসলাম:
ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য
১. ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে ঘটনা প্রবাহের প্রক্রিয়ায় অতীতের খন্ডাংশকে কেন্দ্র করে বর্তমান কে মূল্যায়ন করে ভবিষ্যৎ নির্দেশ করতে হয়। বর্তমান বা সদ্য অতীত থেকে লেখা শুরু করতে হবে। এখানে অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কে একসূত্রে গ্রথিত করে রিপোর্ট লিখতে হয়।
.
২. সংবাদের শুরুতেই অর্থাৎ সংবাদ সূচনায় সংবাদ গল্পের মূল সূরটা প্রতিফলিত করতে হবে। এতে করে পাঠক সংবাদের শুরুতেই পুরো সংবাদ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে।
.
৩. সংবাদের পটভূমি প্রথমেই দিতে হবে এমন ধরাবাধা নিয়ম নেই। সংবাদটি বলার মাঝে পটভূমি আনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পটভূমি কতটুকু এসেছে, কতটুকু আসা উচিৎ ছিল কিনা তা প্রতিবেদককে বিবেচনা করতে হবে।
.
৪. সাধারণ সংবাদে ষড় ক এর( কি, কে,কোথায়, কখন) এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলেই হয়। কিন্তু ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে কিভাবে এবং কেন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
.
৫. সংবাদটি কোন বিষয়ের উপর করা হচ্ছে তা বিবেচনা করে সংবাদের ব্যাখ্যা করতে হবে। সংবাদ রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক বিষয়ে হতে পারে। এখানে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে কিনা তাও বিবেচনা করতে হবে।
.
৬. ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে ৮শ শব্দের বেশি লেখা যাবে না। ৬-৭শ শব্দের মধ্যে হলে সবচেয়ে ভাল।
.
৭ . সংবাদ সূচনা strict jacket পদ্ধতি তে লেখা যায় । অর্থাৎ এখানে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার তথ্য সোজাসুজি ভাবে বলা যায় । তথ্যগুলো সামনে রেখেই রিপোর্টার সংবাদের ব্যাখ্যা করবেন।
.
৮. খবরের মূল অংশ আগেই প্রকাশিত হয়ে গেলে সংবাদের ফলোআপ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে।
৯. রিপোর্টের কোন জায়গায় মন্তব্য করা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। মন্তব্য টি দেওয়া উচিত হবে কিনা তাও বিবেচনা করতে হবে।
১০. সংবাদে বক্তব্য ও পয়েন্ট গুলো এলোমেলো হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে । এবং সামঞ্জস্য বিধান করতে হবে।
১১. সংবাদটির বিষয়ে কে কি বলছে, সে বিষয় গুলো সংবাদ লেখার সময় বিবেচনায় রাখতে হবে।
১২. মানবিক আবেদন সমৃদ্ধ করা আবশ্যক নয়। তবে রিপোর্টে মানবিক আবেদন সমৃদ্ধ করে লিখলে যদি সংবাদ আরো জীবন্ত হয়ে ওঠে তবে এমন ক্ষেত্রে মানবিক আবেদন যোগ করা যায়।
১৩. রিপোর্টে যা যা প্রয়োজন ছিল তার সবটা ফুটে ওঠেছে কিনা তা মিলিয়ে দেখতে হবে।
ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন
লেখক : শিক্ষার্থী
৪র্থ বর্ষ( ২১ তম ব্যাচ )
যোগাযোগওসাংবাদিকতা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
No comments