গণমাধ্যমের চার তত্ত্ব । নরমাটিভ থিউরি
গণমাধ্যমের চার তত্ত্ব । নরমাটিভ থিউরি
গণমাধ্যমের চারটি তত্ত্ব সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল :
1. Authoritarian Theory(কর্তৃত্ববাদী তত্ত্ব)
2. Libertarian Theory(উদারবাদী তত্ত্ব)
3. Social Responsibility Theory(সামাজিক দায়িত্ব তত্ত্ব)
4. Communist theory(কমিউনিস্ট তত্ত্ব)
1. Authoritarian Theory(কর্তৃত্ববাদী তত্ত্ব) :
কর্তৃত্ববাদী তত্ত্বে বলা হয় যোগাযোগের সকল মাধ্যম রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে বলা হয়, তথ্য এবং সংবাদ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন। গণমাধ্যম শাসকদের রাষ্ট্র পরিচালনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
কোনরূপ হুমকি হিসেবে ব্যবহৃত হবে না। গণমাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান ও সেন্সরশিপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার সকল ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে থাকবে। যদি কোন মিডিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে তবে সরকার চায়লেই ঐ মিডিয়ার লাইসেন্স বাতিল এবং বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। স্পর্শকাতর বিষয়গুলো সরকার দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে গোপণ করতে পারবে।
2. Libertarian Theory(উদারবাদী তত্ত্ব) :
উদারবাদী তত্ত্ব গণমাধ্যমের অন্যতম নরমাটিভ তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। ১৬শ শতাব্দী তে ইউরোপে এ ধারণার জন্ম হয়। এটি কর্তৃত্ববাদী তত্ত্বের বিপরীত ধারণা। এ তত্ত্বে ব্যক্তির জীবন এবং চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এ তত্ত্ব মতে, তথ্য হল জ্ঞান। আর জ্ঞানই হল শক্তি। এতে বলা হয় উদারবাদী চিম্তা ব্যক্তি স্বাধীনতার একটি ধারণা, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কোন বিষয় নয়।
এ তত্ত্বে বলা হয়েছে, ব্যক্তি তার ভাল খারাপ মূল্যায়ন করার যোগ্যতা রাখে। ব্যক্তি স্বভাবগতই সভ্য এবং ব্যক্তি তার জন্য কোন বিষয়টা ভাল । কোন বিষয়টি গ্রহণ করা উচিৎ আর কোন বিষয়টা বর্জন করতে হবে তা নিজেই মূল্যায়ন করতে পারে। গণমাধ্যমে সকল বিষয় প্রচার করা উচিৎ। যদি তা নেতিবাচকও হয় তবুও। হয়তো এ নেতিবাচক কন্টেন্ট প্রচারের পর আগের চেয়ে আরো ভাল কোন সিদ্ধান্ত জনগণের মধ্য থেকে বের হয়ে আসতে পারে।
সুবিধা :
১. মিডিয়া অধিক সুবিধা ভোগ করে
২. সেন্সরশিপ মুক্ত থাকে
৩. গণমাধ্যমে ব্যক্তির মতামত প্রদানে স্বাধীনতা থাকে।
অসুবিধা
১. এখানে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা হয়।
২. মুক্ত গণমাধ্যম জনগণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উদাহরণ : উইকিলিকস্ কর্তৃক গোপণ নথি ফাঁস।
3.Social Responsibility Theory( সামাজিক দায়িত্ব তত্ত্ব) :
এ তত্ত্বে বলা হয়, গণমাধ্যম মুক্ত স্বাধীন ভাবে সংবাদ প্রচার করতে পারবে এখানে কোনরূপ লাইসেন্স অথবা সেন্সরশিপ থাকবে না। তবে একি সাথে গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো প্রচার করা হবে তা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করতে হবে। এবং এতে জনগণ ও উক্ত বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তির মতামত থাকতে হবে ।
4. Communist theory(কমিউনিস্ট তত্ত্ব) :
পার্টি মিডিয়া ব্যবহার করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেন। মার্কস, লেলিন ও স্টালিনের চিন্তা থেকে গণমাধ্যমের ভিন্ন নীতি তৈরি হয় যাকে কমিউনিস্ট তত্ত্ব বলা হয়
এ তত্ত্বে বলা হয়, রাষ্ট্র সকল গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে এবং তা শ্রমজীবি মানুষের উন্নয়নে কাজ করবে। এবং গণমাধ্যম রাষ্ট্রের আগ্রহে কাজ করবে। এখানে জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্র মিডিয়া কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এখানে মিডিয়ার ব্যক্তি মালিকানা থাকে না। একটি সুন্দর সমাজ তৈরির জন্য গণমাধ্যম শিক্ষাদান, তথ্য প্রদান , প্রণোদনা দান প্রভৃতি কাজ করবে। গণমাধ্যমে কি প্রচার করা হবে তার জন্য জনগণ ফিডব্যাক দিতে পারবে এবং মিডিয়া সে অনুযায়ী কাজ করবে।
Reference:
www.communicationtheory.org
No comments