বাংলাদেশে মানহানি সংক্রান্ত ধারা সমূহ । Defamation Clauses in Bangladesh

Fareeha Tasrin Reeha


বাংলাদেশে মানহানি সংক্রান্ত ধারা সমূহ Defamation section in Bangladesh

ধারা ৪৯৯:

যদিকোন ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে বা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে বা তার খ্যাতিবা সুনাম নষ্ট হবে বলে জানা সত্ত্বেও তার বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও অপর ব্যক্তিরমানহানি করেছে বলে গণ্য হবে।

ধারা ৫০০:

যদিকোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির মানহানি করে তাহলে সেই ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যেকোনোমেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে কিংবা অর্থদণ্ডে কিংবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।

ধারা ৫০১:

যদিকোন ব্যক্তি এমন কোন বস্তু মুদ্রণ করে বা খোদাই করে যে বস্তু অপর কোন পক্ষে মানহানিকরবলে সে জানে এবং তা বিশ্বাস করা সঙ্গত কারণ আছে তাহলে সেই ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্তযেকোনো মেয়েদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে কিংবা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

ধারা ৫০২:

যদি কোন ব্যক্তি মুদ্রিত বা খোদাই করা এমন মানহানিকর বস্তু বিশিষ্ট কোন দ্রব্য বিক্রি করে বা বিক্রির জন্য উপস্থাপন করে যে মালিকের বস্তুটি সেই দ্রব্যে আছে বলে সে জানে তাহলে সেই ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়েদের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে কিংবা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আরো জানুন…… মানহানি কী What is Defamation

বাংলাদেশে মানহানি সংক্রান্ত ধারা

মানহানির বিচারপ্রক্রিয়া আমলঅযোগ্য, জামিনযোগ্য, মীমাংসার যোগ্য এবং যেকোন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য।

মানহানিরজন্য দেওয়ানী অথবা ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করা যায়। দেওয়ানী আদালতের আশ্রয়গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা আমাদের দেশে সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বিধিবদ্ধ হয় নাই। ন্যায়-নীতিএবং বিবেকের দ্বারা এর ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় দেওয়ানী আদালতের আশ্রয় গ্রহণ করেক্ষতিপূরণ পাওয়ার এই নীতি ব্রিটিশ আইন এর নীতি গৃহীত হয়েছে আমাদের দেশে মানহানিরপ্রতিকারের জন্য দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় আইন বিধিবদ্ধ করা হয়েছে।

কোনসংবাদপত্রে মানহানিকর বিষয় মানহানিকর বিষয় প্রকাশিত হলে মানহানির জন্য সম্পাদক‌ইদায়ী দায়ী হবেন। তিনি তা জানতেন না বা তার জ্ঞানের বাইরে তা ছাপা হয়েছে আসামিপক্ষেরএই ধরনের মামলা গৃহীত হতে পারে না।

কোনসম্পাদক যদি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন যে সুনাম নষ্ট করে বিবৃতিতে তার অনুপস্থিতিতেএবং তার জানার বাইরে প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি তাঁর অনুপস্থিতি সময়টুকুর জন্য সরলবিশ্বাসে একজন উপযুক্ত ব্যক্তির উপর পথিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিয়ে যান, তাহলে তাকেসাক্ষ্যের দ্বারা প্রমাণ করতে হবে যে, তার অনুপস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কে ঐ পত্রিকারসম্পাদক ছিলেন।

মানহানিকরবিবৃতি কোন কোম্পানির সম্পত্তির উপর প্রভাব ফেলে তখন উক্ত কোম্পানি বা কর্পোরেশন আইনেরআশ্রয় গ্রহণ করতে পারে।

আসামিএটা বলে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে না যে অভিযোগকারী আগে একজন কুখ্যাত গুন্ডা ছিল,দন্ডবিধির ৫০০ ধারার অধীন কোন অপরাধ করে নাই।

শুধুখারাপ ব্যবহার মানহানির সামিল নয়। যে ক্ষেত্রে একজন অন্যজনকে আমন্ত্রণ জানায় এবংসে হাজির হলে কোন প্রকার তিরস্কার ছাড়াই তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে সামাজিক দৃষ্টিকোণহতে তার আচরণ নিন্দনীয় হতে পারে কিন্তু অপরাধের কোন উপাদান এখানে নাই।

বিচারসম্বন্ধীয় প্রক্রিয়ায় কোনো বিবৃতি প্রদান করা হলে তা এই ধারার আওতায় আসে না। এজাহারেকোন বিবৃতি প্রদান করা হলে তা মানহানির চার্জের ভিত্তি হতে পারেনা।

দন্ডবিধির৫০০ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধের শাস্তি হিসেবে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলে তা সম্পূর্ণরূপেবেআইনি।

ফরিয়াদি দরখাস্তকারীর নিকট কোনো প্রতিবাদ প্রেরণ করলে এবং তিনি তা প্রকাশ না করলে তখনই এটা বলা যাবে যে তিনি সরল বিশ্বাস ও জনকল্যাণে কাজ করেন নাই।

বাংলাদেশে মানহানি সংক্রান্ত ধারা

লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী

আইন অনুষদ , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.