সেন্সরশিপ কি । সেন্সরশিপের প্রকারভেদ । What is Censorship


Fareeha Tasrin Reeha

সেন্সরশিপ কি? সেন্সরশিপের প্রকারভেদ?

What is Censorship? Types of Censorship?

সেন্সরশিপ

সেন্সরশিপ বা অনুমোদন আধিকারিক পরীক্ষকের পদ বা কর্ম বলতে বুঝায় বাকশক্তির দমন, সর্বসাধারণের সমাযোজন অথবা অন্যান্য তথ্যাদি যা আপত্তিজনক, ক্ষতিকারক, সংবেদনশীল অথবা অসুবিধাজনক।

সেন্সরশিপ সরকার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান অথবা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।

Censorship is the suppression of speech, public communication or other information, on the basis that such material is considered objectionable, harmful, sensitive or inconvenient censorship can be conducted by governments, private institutions, and other controlling bodies.

In simple words censorship is when an authority that is government or religion cuts out or suppresses communication. This may be done because it is considered wrong, harmful, sensitive or inconvenient to the government or other authorities. This can be done for different reasons.

General censorship occurs in a variety of different media, including speech, books, music, films and other arts, the press, radio, television, and the internet for a variety of clean reasons including national security to control obscenity, child pornography, and hate speech to protect children or other vulnerable groups, to promote or restrict political or religious views, and to prevent cylinder and libel.

সেন্সরশিপ আইনগত হতেও পারে বা নাও হতে পারে তা নির্ভর করে তার ধরণ, স্থান এবং বিষয়ের উপর। বিশ্বের বহু দেশ আইনগতভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্য প্রদান করে। কিন্তু এই নিরাপত্তার’ কোনটাই যথার্থ নয় এবং প্রায় সময়ই পরস্পরবিরোধী অধিকারের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।




Know More……..আইন সংক্রান্ত আরো আর্টিকেল পেতে এখানে ক্লিক করুন

সেন্সরশিপের প্রকারভেদ:

  1. Political censorship
  2. State secrets and prevention of attention
  3. Religion censorship
  4. Educational sources
  5. Economic induced censorship
  6. Self-Censorship
  7. Copy, picture, and writer approval
  8. Reverse Censorship


১) Political censorship বা রাজনৈতিক সেন্সরশিপ:

যখন এমন কোন রাজনৈতিক ভুল বা মিথ্যা খবরা-খবর পায় যা সরকার কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে প্রদত্ত হয়ে থাকে তখনই রাজনৈতিক সেন্সরশিপের অস্তিত্ব তৈরি হয়।

২) State secrets and prevention of attention বা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা এবং মনোযোগের বাধা দান:

যুদ্ধের সময় স্পষ্ট সেন্সরশিপ অনুমোদিত হয় এই অভিপ্রায়ে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করা হয় কেননা তা শত্রুদের জন্য উপকারী প্রমাণ হতে পারে।

সাধারণত এর অন্তর্ভুক্ত হলো সময় বা স্থান গোপন রাখা তথ্যাদি দেরিতে প্রকাশ করা যেন তা শত্রুদের কোন কাজে না আসে।

৩) Religion বা ধর্ম:

রাজনৈতিক সেন্সরশিপ বলতে বুঝায় ধর্মীয় শিক্ষার উপর নির্ভর করে অথবা ধর্মীয় প্রাধিকার বা প্রভুত্বের সীমিত ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রকাশের উপর নিয়ন্ত্রণ করা। এই ধরনের সেন্সরশিপের একটা বিরাট ইতিহাস রয়েছে এবং এটা অনেক সমাজে এবং অনেক ধর্মে চর্চিত হয়ে থাকে।

৪) Educational sources বা শিক্ষার উৎসসমূহ:

স্কুলের পাঠ্য বইয়ের বিষয়সমূহ প্রায় সময়ই তর্কবিতর্কের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেননা তা স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

পাঠ্য বইয়ে প্রকাশিত ইতিহাসের সত্যতা শিক্ষার্থীদের চিন্তা চেতনার উপর দারুণ প্রভাব ফেলতে পারে।

৫) Economic induced censorship বা অর্থনৈতিক প্রবৃত্ত সেন্সরশিপ:

অর্থনৈতিক প্রবৃত্ত সেন্সরশিপ অর্থনৈতিক বাজারের মাধ্যমে বিধিবদ্ধ হয়।

৬) Self- censorship বা স্বীয় সেন্সরশিপ:

স্বীয় সেন্সরশিপ সাধারণত কোন ব্যক্তি ভীত হয়ে নিজের বক্তব্য শ্রেণীকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।

৭) Copy, picture and writer approval বা প্রতিলিপি চিত্র এবং লেখকের অনুমোদন:

প্রতিলিপি অনুমোদন এমন একটি অধিকার যা কোন অনুচ্ছেদ লিখতে বা সংশোধন করতে দেওয়া হয়, সাধারণত সাক্ষাৎকার, কোন প্রকাশনার পূর্বে। অনেক প্রকাশক বা প্রকাশন অনুমোদন দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে যখন প্রসিদ্ধ কোন ব্যক্তির প্রসিদ্ধির ক্ষেত্রে। চিত্র বা ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে যার ছবি প্রকাশিত হচ্ছে তার অনুমতি নেওয়া খুবই প্রয়োজন,কোন ছবিটা ছাপানো হবে সে ক্ষেত্রে।

৮) Reverse censorship বা বিপরীত সেন্সরশিপ:

সামাজিক মাধ্যম এর মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মিথ্যা বা ভুল তথ্য কে বলা হয় বিপরীত সেন্সরশিপ।


লেখক : সাবেক শিক্ষার্থী
আইন অনুষদ , চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.