সামাজিকীকরণ কী । সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া । সামাজিকীকরণের মাধ্যম

সামাজিকীকরণ কী


সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি কিছু বিশ্বাস ও সামাজিক আদর্শ শিক্ষা লাভ করে এবং তার পরিবার ও কৃষ্টি উপযোগী আচরণ করে। সত্যিকার অর্থে মা তার নবজাতককে আদর করেন, তখন থেকেই সামাজিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া কে বাদ দিয়ে সামাজিক মনোবিজ্ঞানকে আদৌ বুঝা সম্ভব নয়। সামাজিকীকরণ হচ্ছে সামাজিক শিখন প্রক্রিয়া । যে সামাজিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সামাজিক আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি ,মূল্যবোধ ,নিয়মকানুন ইত্যাদি শিক্ষা লাভ করতে পারে তাকেই বলে সামাজিকীকরণ।


দার্শনিক লকের মতে ,একটি নবজাতকের জন্মের সময় সাদা কাগজের মতো থাকে। তারপর থেকেই একটি শিশু তার পরিবার, বন্ধু ,খেলার সাথী, শিক্ষক ,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদির মাধ্যমে ধীরে ধীরে সামাজিকীকরণ অর্জন করে। এইজন্যই সামাজিকীকরণ কি একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া বলা যায় ।ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন সময় কালে তুলনায় শিশুকালে সামাজিকীকরণ খুব দ্রুত গতিতে কাজ করে।


মাসেন ,কঙ্গার ,কাগান বলেন, সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি তার নিজস্ব পরিবার ও কৃষ্টি উপযোগী আচরণ ধারা ,বিশ্বাস ,আদর্শ মান ও প্রেষণাবলি অর্জন করে।


বোগারডাস এর মতে, সামাজিকীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ব্যক্তি জনকল্যাণের জন্য একত্র নির্ভরযোগ্য আচরণ করতে শিখে এবং এসব আচরণ করতে গিয়ে সামাজিক আত্মনিয়ন্ত্রণ ,সামাজিক দায়িত্ব ,সুসামঞ্জস্য ব্যক্তিত্বের অভিজ্ঞতা লাভ করে।

 







সামাজিকীকরণ । ছবি : 


সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া


সামাজিকীকরণ ব্যক্তির একটি সামাজিক শিক্ষণ প্রণালী ।ব্যক্তি সামাজিকীকরণ মূলত শিক্ষণের কয়েকটি মৌলিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি। এসব শিখন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সামাজিক আচরণ আয়ত্ত করে। ব্যক্তির অগোচরে , একান্ত অবচেতনভাবেই এসব শিক্ষণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় এবং ব্যক্তি সামাজিক নিয়মকানুন শিক্ষা লাভ করে ।সামাজিকীকরণের যেসকল শিক্ষণ প্রক্রিয়া কার্যকরী থাকে সেগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-


১.করণ শিক্ষণ
২.প্রাসঙ্গিক শিক্ষণ
৩.প্রত্যক্ষ শিক্ষণ
৪.অনুকরণ


১ . করণ শিক্ষণ


সামাজিক শিখনের মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর আচরণ পরিবর্তনের জন্য বলবর্ধক প্রদান করা ।বলবর্ধক দিলে প্রাণীর আচরণে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে । বলবর্ধক দুই ধরনের হয় । যথা : ইতিবাচক বলবর্ধক এবং নেতিবাচক বলবর্ধক। যেসব আচরণ করার পর ব্যক্তি পুরস্কার লাভ করে এবং যেসব আচরণ পুনরাবৃত্তি করার প্রবণতা ব্যক্তির মধ্যে প্রকাশ পায়। পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় প্রাণী বহুবার একটি নির্দিষ্ট আচরণ করতে পারে এটি হলো ইতিবাচক বলবর্ধক ।অপরদিকে নেতিবাচক বলবর্ধক এর মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করা যায় ।নেতিবাচক বর্ধন কি অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোন একটি আচরণ বারবার করতে থাকে । কোন একটি আচরণ করার পর এই যে পুরস্কার ও শাস্তির ব্যবহার একে বলে বলিয়ানকারী।

দুই ধরনের বলিয়ানকারী আছে। পুরস্কারকে ধনাত্মক বলিয়ানকারী এবং শাস্তিকে ঋণাত্মক বলিয়ান কারী বলা হয় ।তাই দেখা যাচ্ছে যে ,ধনাত্মক বৃদ্ধির প্রভাবে শিক্ষণ শক্তিশালী হয় এবং ঋণাত্মক বল বৃদ্ধির প্রভাবে শিক্ষণটি অবলুপ্ত হয়।
শিশুকে আদর সোহাদরের মাধ্যমেও অনেক সামাজিক আচরণ শেখানো যেতে পারে। শিশুরা পিতা-মাতা স্বীকৃতি বেশি প্রত্যাশা করে এবং পিতা-মাতার বকাবকি থেকে দূরে থাকতে চায়। যথাযথ আচরণের জন্য শিশুদের পুরস্কৃত করা প্রয়োজন আর অযথাযথ আচরণের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।


২. প্রাসঙ্গিক শিক্ষণ
প্রাসঙ্গিক শিক্ষণ সামাজিকীকরণের আরো একটি অন্যতম প্রক্রিয়া  এই প্রক্রিয়ায় একটা শিশু প্রসঙ্গ ক্রমে শিখে ফেলে। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে করতে হয় না ।যে আচরণ পরিবার বা সমাজ অপছন্দ করে সেই আচরণটি প্রাসঙ্গিক শিক্ষণের মাধ্যমে আয়ত্ত করা হয়ে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের শিক্ষণ প্রায়ই হয়ে থাকে । শিশুদের অনেক অবান্তর আচরণ হওয়া সত্বেও আমরা হেসে তা পরোক্ষভাবে সমর্থন জানাই ।এতে করে সে বারবার একই আচরণ করতে চাই এবং অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ’ শিখে ফেলে ।উদাহরণ হিসেবে বলা যায় , একটি শিশু অন্য কাউকে আঘাত করছে আমরা তাকে বাধা না দিয়ে হেসে হেসে তাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি, এতে করে সে আচরণ শিখে ফেলবে।


৩ . প্রত্যক্ষ শিক্ষণ
যে শিক্ষণ ব্যক্তির উপর সরাসরি আরোপ করা হয় তাই হল প্রত্যক্ষ শিক্ষণ। এইরূপ শিক্ষণ এর মাধ্যমে সামাজিকীকরণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রত্যক্ষ শিক্ষণ এর মাধ্যমে ব্যক্তি সামাজিক রূপ লাভ করে এবং ব্যক্তি সমাজ উপযোগী আচরণ করেন । এ শিক্ষণের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।যেমন:
ক.প্রত্যক্ষ শিক্ষণে সরাসরি নির্দেশনা থাকে ।
খ. প্রত্যক্ষ শিক্ষণের নির্দেশনা কোন বিশেষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কাজ থেকে আসতে পারে
গ. প্রত্যক্ষ শিক্ষণ নির্দেশনার কতগুলো ভিত্তি থাকে ।যেমন :আইনগত ,নৈতিক, ধর্মীয় ,সামাজিক।

এ ধরনের শিক্ষণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরাসরি নির্দেশনা প্রদান করে যে এসব আচরণ করা এবং এসব আচরণ করা যাবে না ।আবার এধরনের নির্দেশনা প্রদানের সময় কতগুলো অজুহাত দেখানো হয় ।যেমন : জেব্রা ক্রসিং অনুসরণ করা ( আইনগত ভিত্তি) মুরুব্বীদের সালাম দেওয়া (নৈতিক ভিত্তি ) রমজানে রোজা রাখা (ধর্মীয় ভিত্তি) অযথা কারো সামনে বেশি কথা না বলা (সামাজিক ভিত্তি )।এভাবে নির্দেশিত পথে আচরণ করার একটা প্রবণতা ব্যক্তির মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।


৪ . অনুকরণ
সামাজিকীকরণের আরো একটি অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে অনুকরণ। অন্যের কোন একটি নির্দিষ্ট আচরণ প্রত্যক্ষ করার পর সে আচরণটি যথাসম্ভব অনুরূপভাবে প্রকাশ করার যে মানসিক প্রক্রিয়া তাকে বলে অনুকরণ অনুকরণ  সবার মধ্যে কম বেশি দেখা যায় তবে ছোটদের ক্ষেত্রে খুব বেশি ঘটে থাকে। মূলত অনুকরণ একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া ।এই প্রক্রিয়ায় একজনের আচরণ অন্য জনের মধ্যে অজ্ঞাত ভাবেই স্থানান্তরিত হয় ।অনুকরণ মূলত তিনটি ধাপে ঘটে।


ক.প্রতীকীকরণ
খ. একাত্মভবন
গ.স্থানান্তর


ক. প্রতীকীকরণ
ছোটবেলা থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সেই তার কাছে কোন কোন ব্যক্তি মডেল হিসেবে মনে হয় ।ছোটবেলায় একজন শিশুর মডেল থাকে তার বাবা-মা ,পরবর্তীতে তার শিক্ষক। এক্ষেত্রে যাকে সে মডেল হিসেবে মনে করে তার কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হয়। আবার যৌবন বয়সে সিনেমার তারকা মডেল হিসেবে কাজ করে। তবে এসব মডেলদের পরিবর্তন হতে পারে। তবে বাবা ও মা কোন কোন ব্যক্তি জীবনের মডেল
হিসেবে কার্যকরী হতে দেখা যায়।


খ . একাত্মভবন
ব্যক্তির অবচেতন মনে কাউকে মডেল হিসেবে মনে করে মডেলের হাসি-কান্না সুখ-দুঃখ অনুভব করা ।এ একাত্ম ভবন মূলত  এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক আকর্ষণ  ।তবে এটা মনের অবচেতনভাবেই ঘটে। ওই মডেলের প্রতি তার সকল আত্মরক্ষার কৌশল অকার্যকর করে রাখে ।


গ . স্থানান্তর
স্থানান্তর বলতে শিক্ষণের স্থানান্তরকে বুঝানো হয় ।মডেলের শিক্ষণীয় অনেক আচরণ তখন একান্ত অজ্ঞাতেই ওই ব্যক্তির চলে আসে ।এর ফলে মডেলের অনুরুপ আচরণ করতে থাকে ।এক্ষেত্রে সে নতুন আচরণ শিক্ষা লাভ করে এবং আগের আচরণগুলোর পরিবর্তন করতে পারে। একইভাবে ব্যক্তি মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক আচরণ লাভ করে  আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সামাজিক আচরণের পাশাপাশি অসামাজিক আচরণ করতে দেখা যায়। এই ভালো খারাপ উভয় দিকই আছে।

আরো জানুন………মনোভাব কী । মনোভাবের উপাদান । মনোভাব গঠন ও পরিবর্তন


সামাজিকীকরণ মাধ্যম ইতোপূর্বে জানলাম কি ভাবে সামাজিকীকরণ হয় ।এবার জানবো সামাজিকীকরণ কাদের মাধ্যমে হয়ে থাকে  । সামাজিকীকরণ ব্যক্তি শিশুকাল থেকেই প্রাপ্তবয়স্ক কাল পর্যন্ত চলতে থাকে  । সামাজিকরণ বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা সম্পন্ন হয়  যেমন পিতা-মাতা ,ভাই-বোন ,আত্মীয়-স্বজন, খেলার সাথী ,বিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি মাধ্যমসমূহ সামাজিকীকরণের সাহায্য করে ।


১.সামাজিকীকরণের মাধ্যম হিসেবে পরিবার
পরিবার শিশুর একটি প্রথম সামাজিক পরিবেশ যার কাছাকাছি থেকে সে ধীরে ধীরে জীবন ও পৃথিবী সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। শিশু জন্মের পর তার পিতা-মাতা ভাই-বোন এদের ভালোবাসার বন্ধনে নিজেকে আবদ্ধ রাখে এবং সে সময় তার অসহায় বোধ হয়, নিরাপত্তাবোধ করে। এরূপ পারিবারিক নিরাপত্তাবোধ শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে গতিময় ধারা সৃষ্টি করে।


ক. পিতা মাতা ও শিশুর সম্পর্ক
সন্তানদের উপর পিতা-মাতার ব্যবহার সন্তানদের মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  । অধিকাংশ পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের সাথে স্নেহ প্রীতি ও ভালোবাসা সম্পর্ক স্থাপন করেন। পিতা মাতা শিশুদের খাদ্যগ্রহণ, পোশাক ,পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দিবেন ।পিতা-মাতা কর্তৃক শিশু শিশুর প্রতি অতিশয় অবহেলা ও বর্জন শিশুকে আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন করে তোলে ।অতিরিক্ত রক্ষণশীল মানসিকতার শিশুকে পরনির্ভর করবে ।

সার্জেন্ট উইলিয়ামসন 1965 পিতা-মাতার আচরণ শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর এর প্রভাব নিন্মলিখিতভাবে সংক্ষেপে বর্ণনা করেন –
পিতা মাতার আদর         শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রতিক্রিয়া বর্জন  –  আগ্রাসন,নিরাপত্তার অভাব ও ভীতি
অতিরক্ষণ –   শিশুসুলভ আচরণ ও উদ্বেগ
বশ্যতা-   আগ্রাসন অবাধ্যতা অসাবধানতা অনুমোদনশীলতা-। 

স্বাধীনচেতা ওআত্মবিশ্বাস অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ-।  আগ্রাসন ঈর্ষা ও অপরাধ প্রবণতা।

খ .পিতা-মাতার সম্পর্ক
পরিবারে পিতার সাথে মাতার সম্পর্ক কেমন তার উপর সন্তানদের মানসিক বিকাশ অনেকাংশে নির্ভর করে ।পিতা-মাতার মধ্যে ভালো সম্পর্ক বিরাজ করলে শিশুর ব্যক্তিত্ব আকর্ষণীয় হতে পারে ।আবার পিতা-মাতা ও দ্বন্দ্ব থাকলে শিশুর মধ্যে অসহায় বোধ সৃষ্টি হবে ,যা শিশুকে পরবর্তীতে উগ্র ও সামাজিক আচরণ করতে সাহায্য করবে।


গ .ভাই-বোনদের সাথে সম্পর্ক
শিশুদের ব্যক্তিত্ব বিকাশে পরিবারের ভূমিকা আরো একটি অংশ হলো ভাই বোন । শিশুর ভাই-বোনদের ইতিবাচক সম্পর্ক শিশুর ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে  ভাইবোনদের অভ্যাস, মনোভাব, মূল্যবোধ ,আগ্রহ, ব্যক্তিত্ব শিশুর সামাজিকীকরণ এর উপর প্রভাব ফেলে ।  অতি নিকট থেকে শিশুর সন্তুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে।


২. সামাজিকীকরণের মাধ্যম হিসেবে বিদ্যালয়

শিশুর সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ  বিদ্যালয়ে অনুপ্রবেশ শিশু জীবনের একটি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে  বিভিন্ন পরিবার থেকে আসা শিশুরা তাদের নিজ নিজ পরিবারের কৃষ্টির প্রতিফলন ঘটায় বিদ্যালয়ে। নতুন পরিবেশে শিশুর আগমনের ফলে শিশু নতুন করে নিয়মকানুন শিখে ফেলে। এর ফলে শিশুর মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয় ,নিয়ম মাফিক কাজ করার প্রবণতা বাড়ে, স্কুলে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে যেমন: খেলাধুলা ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

৩. সামাজিকীকরণের মাধ্যম হিসেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

ধর্মীয় অনুশাসন, ধর্মের রীতিনীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ব্যক্তিজীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের দেশের বিভিন্ন ধর্মের লোকজন বসবাস করেন ।প্রত্যেক ধর্মেই আদর্শ ,উপদেশ ,জীবন দর্শন থাকে যা একজন ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ মানুষ হতে সাহায্য করে ।ধার্মিক ব্যক্তিদের মধ্যে ন্যায় পরায়নতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ,সত্যবাদিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি দেখা যায় । ধর্মীয় শিক্ষা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ব্যাক্তির ধর্মীয় চিন্তাভাবনা, ধর্মীয় মূল্যবোধকে বিকশিত করে এবং সামাজিকীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। তাছাড়া সামাজিক অনুষ্ঠান ,খেলার সাথী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম, বন্ধুমহল ,প্রতিবেশী এসব কিছু একজন ব্যক্তি সামাজিক এ কারণে ব্যাপক প্রাধান্য বিস্তার করে।

No comments

Powered by Blogger.