উন্নয়ন যোগাযোগের কৌশল সমূহ। Development Communication Strategies
উন্নয়ন যোগাযোগের কৌশল সমূহ ( Development Communication Strategies
পরিকল্পনার লক্ষ্যার্জনের পথে কোন সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে ওটার নাম কৌশল।অর্থাৎ পরিকল্পনা দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিবর্গের ভবিষ্যৎ প্রক্রিয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের নাম হল কৌশল। উন্নয়ন যোগাযোগ/ Development communication কে ফলপ্রসু করতে যেসব কৌশল গ্রহন করা হয় তা হল-
১.শ্রোতা নির্ধারন (target audience)
২. তাদের প্রয়োজন কী? তা জানা (what their needed)
৩. সাদৃশ্য(any link up with the project)
৪. স্থানীয় লোকদের সম্পর্কে জানা (what the nature of this or that locality)
৫. সাংস্কৃতিক বিষয় নির্বাচন (identity the cultural issue)
৬. বার্তা বন্টন পদ্ধতি নির্ণয়(find out the way how distribute the message)
৭. স্থানীয় মুল্যবোধ মুল্যায়ন করা (evaluate the local norms,judgement or pretest for project)
৮. সম্প্রদায়ের সমস্যা ও সম্ভবনা খুজে বের করা (find out problems opportunity and challenge of the locality)
৯.প্রকল্পের নকশা তৈরী

উন্নয়ন যোগাযোগের কৌশল
Know More….উন্নয়ন যোগাযোগ কী । What Is Development Communication
১.শ্রোতা নির্ধারন (target audience):-উন্নয়ন প্রকল্পটি কোন শ্রেণীর শ্রোতার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে তা নির্ধারন করা।অভিজাত না মধ্যবিত্ত তা নির্ধারন করা।যেন খুব সহজেই তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা পৌছে দেওয়া যায়।
২.তাদের প্রয়োজন কী? তা জানা(what their needed):
যে শ্রেনীর মানুষের জন্য বা উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেওয়া।তারা কী চায়? কেন চায়?এসব বিষয় জেনে যোগাযোগ করলে তারা খুব সহজেই তাদের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করে।
৩.সাদৃশ্য(any link up with the project):–
যে প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে তার সাদৃশ্য কোন প্রকল্প থাকলে তার সাথে মিলিয়ে নেয়া । ফলে পূর্ব প্রকল্পটির কোন অংশ কোথাও ব্যর্থ হলে যে জায়গা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় এবং গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
৪.স্থানীয় লোকদের সম্পর্কে জানা(what the nature of this or that locality):
-যে সম্প্রদায়কে বেচে নেওয়া হবে সে সম্প্রদায়ের প্রকৃতি কেমন এবং প্রকল্পটি তাদের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিষয়ে যথেষ্ট সহায়ক কীনা তা যাচাই করতে হবে।তাদেরকে বুঝাতে হবে যে বিষয়টি তাদের জন্য মঙ্গলজনক এবং তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান সহ অন্যান্য বিষয়েও লাভবান হবে।ফলে সমাজটি উন্নয়নের বিষয়টি অনুধাবন করবে এবং বিষয়টি গ্রহন করবে।
৫. সাংস্কৃতিক বিষয় নির্বাচন(identity the cultural issue):–
শ্রোতাদের সাংস্কৃতিক বিষয়টিও নির্ধারন করতে হবে।তাদের সার্থ বিরোধী কোন প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া যাবে না।অন্যের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানো উন্নয়ন যোগাযোগের পূর্বশর্ত।
৬.বার্তা বন্টন পদ্ধতি নির্ণয়(find out the way how distribute the message)
বার্তা কিভাবে বন্টন বা ছড়িয়ে দেওয়া হবে তার উপায় নির্ধারন করা।কারন বার্তা প্রদানে ত্রুটি থাকলে বা সফল বার্তা ছাড়া জনগন তা গ্রহন করবে না।ফলে উন্নয়ন যোগাযোগ ব্যর্থতায় প* হবে।সুষ্টু উপায়ে সুষ্টু ও অনুকূল পরিবেশে যে বার্তা দেওয়া উচিত তা পৌছে দেওয়া।
৭.স্থানীয় মুল্যবোধ মুল্যায়ন করা(evaluate the local norms, judgement or pretest for project)
প্রকল্প চালুর পূর্বে স্থানীয় আচার-আচরন,বিশ্বাস,মুল্যবোধ মু্ল্যায়ন করা।যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে তা কতটুকু স্থানীয় সমাজের সাথে সংগতিপূর্ন তা যাচাই করে নেওয়া।
৮.সম্প্রদায়ের সমস্যা ও সম্ভবনা খুজে বের করা(find out problems opportunity and challenge of the locality)
সম্প্রদায়ের সমস্যা ও সম্ভবনা ঝুকিসমূহ খুজে বের করা।এবং তা মোকাবিলার পথ বাতলে দেয়া।
৯.প্রকল্পের নকশা তৈরী
সম্পূর্ণ প্রকল্পটির খসড়া তৈরী করার পর তা শুরু করা।এজন্য মিডিয়া কভারেজ,শিক্ষাকেন্দ্র ও কর্মশালার আয়োজন করে যোগাযোগ ফলপ্রসু করা।
স্থানীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে সামাজিক অংশগ্রহন মূলক যোগাযোগ করা সম্ভব।পলিসি বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ,সবপ্রকার তথ্য দিয়ে যোগাযোগ সচল রাখতে এবং প্রেরক ও গ্রাহকদের মাঝে তথ্য জানা সহজ প্রাপ্যতার মাধ্যমে সবার বোধগম্য করে তোলা।যেন খুব সহজেই যোগাযোগটি বাস্তবায়িত হয়।
উন্নয়ন যোগাযোগের কৌশল
No comments