যোগাযোগ পরিকল্পনার উপাদান বা অন্তসার । Communication Planning Elements

যোগাযোগ পরিকল্পনার উপাদান বা অন্তসার


যোগাযোগ পরিকল্পনায় তিনটি বিষয় কাজ করে। এগুলোকে পরিকল্পনার উপাদানও বলা হয়। এগুলো হল –


১. জনগণ ও উন্নয়ন নীতি
২. প্রযুক্তি
৩. যোগাযোগ অবকাঠামো


উপরের তিনটি বিষয় পরস্পর আন্তঃসম্পর্কিত আর এই আন্তঃসম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে যোগাযোগ পরিকল্পনার অন্তঃসার।
নিচে চিত্রের সাহায্যে তা দেখানো হল –

যোগাযোগ পরিকল্পনার উপাদান
যোগাযোগ পরিকল্পনার উপাদান


উপরের চিত্র থেকে দেখা যায়, যোগাযোগ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা থাকবে। এই নীতিমালা হবে জনগণ এবং উন্নয়ন কেন্দ্রীক। আবার নীতিমালার সাথে যুক্ত আছে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে এবং তা আর্থিকভাবে কতটুকু সম্ভব হবে সে বিষয়টি। এর সাথে যোগাযোগ অবকাঠামো হিসাবে রেডি, টি, সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এবং অবস্থানের প্রকৃতি ও সংশ্লিষ্ট রয়েছে।
এই তিনটি উপাদানের সারাংশ থেকেই প্রণীত হয় যোগাযোগ পরিকল্পনা। যাকে পরিকল্পনার অন্তঃসার ও বলা হয়।

Learn More … সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ 

যোগাযোগ পরিকল্পনা চক্র


কতগুলো বিষয় সংশ্লিষ্টতা ছাড়া যোগাযোগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা অসম্ভব । আমাদের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট এই বিষয়সমূহের প্রধান কয়েকটি হচ্ছে কলা, বিজ্ঞান আর গণিত। আর এসব বিষয় এবং এগুলোর শাখা প্রশাখার সমন্বিত রূপই হচ্ছে যোগাযোগ পরিকল্পনা চক্র।

Alan Hancock তাঁর Communication planning for Development: An Operational Framework গ্রন্থেে যোগাযোগ পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে একটি চক্রের কথা উল্লেখ করেছেন। যাকে যোগাযোগ পরিকল্পনা চক্র (Tier of Communication planning) বলা হয়। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে চক্র টি তুলে ধরা হল। 


১ম চক্র 


যোগাযোগ পরিকল্পনার ভিত্তি হল এই চক্র। পরিকল্পনা প্রণয়নের এই চক্রটি তিনটি মৌলিক বিষয়ের সমম্বয়ে গঠিত। বিষয় তিনটি হল –
১. কলা বা মানববিদ্যা 
২. বিজ্ঞান
৩. গণিত

পরিকল্পনার যে কোন শাখায় কলা ও মানববিদ্যার ব্যবহার হয় এবং যোগাযোগ পরিকল্পনার সর্বস্তরে বিজ্ঞানের ব্যবহার অপরিহার্য।

বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা এবং অভিজ্ঞতা লব্দ ধারণা যোগাযোগ পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও গণিতের অতিরিক্ত ব্যবহার রয়েছে। গণিতের ব্যবহার ছাড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রায় অসম্ভব।

২য় চক্র 
একটি সমন্বিত যোগাযোগ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য দ্বিতীয় চক্রের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলা হলো – 


১.সমাজবিজ্ঞান
২. প্রযুক্তি 
৩. ফলিত গণিত ও পরিসংখ্যান 


বর্তমানে সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারণাগুলো নিয়েই যোগাযোগ পরিকল্পনা সাজানো হয়। বিভিন্ন সমাজের রীতিনীতি বিভিন্ন রকম। সব সমাজের রীতিনীতি জেনেই পরিকল্পনা করতে হয়। 


আবার যোগাযোগ পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিভিন্ন সহায়তা করছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে দ্রুত তম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.