টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ

টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা

আন্তর্জাতিক স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে বেসরকারী নীতিমালার ধরন ( বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ / নীতিমালা নির্ধারণ)

পুরো পৃথিবী স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিমূহুর্তে পৃথিবীকে কব্জা করে রেখেছে। তারা তথ্য এবং গোয়েন্দা বৃক্তির জন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। পুরো পৃথিবীটাকে মনিটর করেছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।

গনমাধ্যম যে স্যাটেলাইট ব্যবহার করে তার মাধ্যমে তথ্য ,ফুটেজ ,শব্দ বিনিময় করে। আপলোড এবং ডাওনলোড এর মাধ্যমে তথ্য দেয়া ও নেয়া হয়। সিঙ্গাপুর ভিক্তিক এশিয়া -১ এবং এশিয়া -২ নিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেল গুলো চলে। কিছু স্যাটেলাইট গণমাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের জন্য ব্যবহত হয়। তাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে বলে অনেক টিভি চ্যানেল রয়েছে। চ্যানেল গুলো কমদামে স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে পারছে।

স্যাটেলাইট গুলো ব্যবহার করে গণমাধ্যম পরিচালনার জন্য সরকার নানান বিধিমালা ও ব্যবহারের আওতা বেধে দিচ্ছে। স্যাটেলাইট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের ছয় ধরনের নীতিমালা আলোচনা করা হয়। এগুলো হল –

১ Active suppression (সক্রিয় দমন)

২ latent suppression ( প্রচ্ছন্ন দমন)

৩ Self-satisfied and Inaction আত্নতুষ্ট ও ঔদাসীন্য

৪ Prudent and Inaction বিচক্ষণ ঔদাসীন্য

৫ controlled Access ( নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার)

৬ liberal Access ( উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার)

আরো জানুন………..সংবাদপত্রের মালিকানা ও পরিচালনার ধরন । সুবিধা ও অসুবিধা

স্যাটেলাইট ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ গণমাধ্যম সরকারের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা , সাহিত্য সংস্কৃতির রক্ষণের জন্য হুমকিতে না পড়ার জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন দেশ স্যাটেলাইট ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকে কিভাবে ব্যবহার করে সেটা এখানে আলোচিত হয়।

টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা
টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন ধরনের নীতিমালা

সক্রিয় দমন Active suppression

সরকার নিজেই স্যাটেলাইটের মালিক। যেমন বিটিভি। একটি আইন থাকে এবং এর প্রয়োগ থাকে। স্যাটেলাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকার নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন -ইরান, সৌদি আরব এসব দেশ গুলো স্যাটেলাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সক্রিয় দমন নীতি অনুসরণ করে। ক্যাবলের মালিকানা সরকার নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রচ্ছন্ন দমন latent suppression

ডিস এন্টেনা বা ক্যাবল Tv এর ক্ষেত্রে আইন থাকবে কিন্তু এর প্রয়োগ হবে সময়ে সময়ে। সব সময় এর প্রয়োগ হয় না। যেমন- বাংলাদেশ সরকার ক্যাবল টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করে। অপারেটর নিজের নাম দিয়ে চ্যানেল খুলে চালায়। আইন থাকে কিন্তু প্রয়োগ থাকে অনিয়মিত।

আত্নতুষ্ট ঔদাসীন্য Self-satisfied and Inaction

সরকারের জন্য কল্যাণের প্রতি অনাগ্রহ ও অবহেলা থাকে। ৯০ এর দশকের শুরুতে এটি বাংলাদেশে ছিল। সরকারের আইন এবং নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সরকারের ঔদাসীন্যতা কাজ করেছে। তখন সরকার ওপেন কালচারে বিশ্বাসী ছিল।

বিচক্ষণ ঔদাসীন্য Prudent and Inaction

সরকারের ঔদাসীন্যতা কাজ করলেও আইন করার চিন্তা ভাবনা করে বিভিন্ন দেশের আইন পর্যবেক্ষণ, বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে অন্যের অধিকা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। সংস্কৃতিক আগ্রাসন যাতে না হয় সেটার চিন্তা করছে। আইন নেই নীতিমালা নেই কিছু আইন তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিকল্প অনুসন্ধান করতে থাকে।

নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার controlled Access

সরকার কিছু আইন এবং নীতিমালা দিয়ে স্যাটেলাইট ব্যবহারের অনুমতি দেয়। কোন অনুষ্ঠান করা যাবে কোনটি করা যাবে না সেটি সরকার ঠিক করে দেয়। সরকার আইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করে।

উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার liberal Access

সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকবে কিন্তু প্রয়োগ হবে উদার। আইন শিথিল করা হয়। ক্যাবল টিভি গুলোকে চালাতে দেয়ার অধিকার দেওয়া হয়।উদারনীতির মাধ্যমে আইনকে শিথিল করা হয়। আইন হওয়ার পর দাবী উঠে আরো যুগোপযোগী করার । আইন করে মানুষকে সভ্য করা যাবে না এমন একটি ভাব বিরাজ করে। ইংল্যান্ডের আইন শিথিল , সংবিধানও লিখিত নয়। এখানে আইন এবং নীতিমালা গুলো অনেক বেশি লিবারেল এখানে যথেষ্ট স্বাধীনতা থাকে । সাধারণত সভ্য সমাজেই এ ধরনের প্রবেশাধীকার থাকে। যারা নিজেরাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে কাজ করে। ইউরোপে এর প্রচলন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.