তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এবং তা নিরসনের উপায়
তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমূহ
১৯৮০ সালের ইউনেস্কোর ম্যাকব্রাইড কমিশন আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সমস্যার উপর গবেষণা করে Many Voices , One World নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে । এই প্রতিবেদনে বলা হয় , মানুষের কাছে অবাধ তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে যে সকল খুঁত বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তার পরিসরঅসীম । নিচে এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আলোচনা করা হলো –
১ . শারীরিক নির্যাতন এবং ভয় প্রদর্শন
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা হল সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক নির্যাতন । সংবাদপত্রের উপর অবরোধ, সাংবাদিকদের হয়রানি , অপহরণ ,হত্যা ,গুম ,বোমা হামলা ইত্যাদি ঘৃণ্য কর্মকান্ড তাদেরকে হুমকির মুখে রাখে । এধরনের ভীতিকর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে । ফলে আবাধ তথ্য প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় ।
২ . দমনমূলক আইন
অনেক দেশে সরকার গণমাধ্যমের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে । সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে এটি করা হয় । এ সকল আইনের কারণে সাংবাদিকেরা আইনি জটিলতার ভয়ে কারো বিরুদ্ধে সত্য তথ্যও প্রকাশ করতে চায় না । ফলে মানুষ সঠিক তথ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় । এছাড়াও রয়েছে দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন, নিরাপত্তা আইন ইত্যাদির মতো দমনমূলক আইন ।
৩ . লাইসেন্স ও সেন্সরশিপ
সংবাদপত্রের লাইসেন্স প্রথার মাধ্যমেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় । লাইসেন্স বাতিলের ভয়ে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানগুলো চাপে থাকে । আবার সেন্সরশিপের মাধ্যমেও তথ্য প্রবাহকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয় । সংঘর্ষ , ধর্মীয় বিষয় , বৈদেশিক ভাবমূর্তি , পর্নোগ্রাফি, শিশু ও যুবক ইত্যাদি বিষয়ক সংবাদের ক্ষেত্রে সাধারণত সেন্সরশিপ করা হয় । কিন্তু অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও উচ্চস্থানীয় ও প্রভাবশালীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এমন বিষয়ে সেন্সরশিপ করতে দেখা যায় ।
৪ . কাল তালিকাভুক্তকরণ
যে সমস্ত সাংবাদিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয় । তাদের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে তাঁদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয় । এতে তথ্য প্রবাহও বাঁধার মুখে পড়ে ।
৫ . রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বাঁধা
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেও তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয় । বিশেষ ক্ষেত্রে মতামত প্রকাশের ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা , অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ যেমন মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত করে , তেমনি প্রশাসনিক আমলারাও তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ।
৭ . বিচার বিভাগীয় বাধা এবং সংসদীয় প্রাধান্য
তথ্য প্রাপ্তির স্বাধীনতায় বিচার বিভাগের সহযোগিতাযর পরিবর্তে অনেক দেশে দেখা যায় বিপরীত অবস্থান । আদালতের বিরুদ্ধে কিছু বলা বা লেখা হলেই আদালত অবমাননার দায়ে সাংবাদিককে দোষী করা হয় । আবার কোন কোন দেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি বন্ধ করে দেয়া হয় । এ ছাড়াও রয়েছে মন্ত্রী-এমপিদের মত সংসদীয় ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিদের বিশেষ প্রাধান্য ।
৮ . সংরক্ষিত পেশার অনুশীলন
সংবাদের সূত্র, প্রয়োজনীয় স্থান, ব্যক্তি, নথিপত্র ,তথ্য ইত্যাদির ব্যাপারেও রয়েছে প্রশ্ন । ছাড়পত্র, বিশেষ স্থানে সাংবাদিকদের চলাচলের ওপর সীমাবদ্ধতা, সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করার মত মানুষের অভাব ইত্যাদি অবাধ তথ্য প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে । উদাহরণস্বরূপ – সংরক্ষিত পেশার অনুশীলনের কারণে বেশিরভাগ দেশেই প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য মানুষ পায় না ।
৯ . অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চাপ
আন্তর্জাতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর ওপর অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলোকে সবসময় নির্ভর করতে হয় । পর্যাপ্ত স্বার্থ না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে নিজস্ব লোকবল নিয়োগ, উৎপাদন ব্যয় , প্রযুক্তির ব্যবহারে এসব দেশ কর্তৃত্ব দেখাতে পারেনা । ফলে তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর উপর নির্ভর করতে হয় । এতে তথ্য প্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হয় ।
উদাহরণস্বরূপ – সংবাদ সংস্থা কর্তৃক সরবরাহকৃত বিশ্ব সংবাদের প্রায় ৮০ ভাগ আসে পাশ্চাত্যের সংস্থাগুলো হতে । যার মধ্যে তৃতীয় বিশ্বের সংবাদ থাকে খুবই নগণ্য ।
তার ওপর আবার রয়েছে সামাজিক বাধাও । কোন দেশের সমাজ ব্যবস্থা কেমন তা নিয়েই সমাজ ব্যবস্থার চরিত্র নির্ধারিত হয় । সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সমাজতন্ত্রকে , পুঁজিবাদ ব্যবস্থায় পুঁজিবাদকে আদর্শ ধরে সংবাদ প্রকাশিত হয় । এ ধরনের সামাজিক ব্যবস্থা মানুষের স্বাধীন তথ্য প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে ।
১০ . বেসরকারি একচেটিয়া মালিকানা এবং একীভূতকরণ
সংবাদের উৎস যখন মাত্র একটি থাকে কিংবা বিভিন্ন উৎসের ঝোঁক যখন একই রকম থাকে, তখন একচেটিয়া মাধ্যমের আবির্ভাব ঘটে । একচেটিয়া মালিকানার ফলে কোন বিষয় সংবাদ হবে, কোনটি সংবাদ হবে না , কোনটি গণমাধ্যমে উপস্থাপিত হবে তা নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায় । আবার অর্থনৈতিক দুর্বলতার কারণে অনেক ছোট মাধ্যম বড় মাধ্যমগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনা । ফলে সে তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কিংবা বড় মাধ্যমগুলোর সাথে একীভূত হয়ে যায় । আর এই অবস্থায় তথ্যপ্রবাহ কখনো স্বাধীন থাকতে পারে না ।
১১ . বিজ্ঞাপনের চাপ
গণমাধ্যমে আয়ের বড় উৎস হল বিজ্ঞাপন । আর বিজ্ঞাপনদাতারা হচ্ছেন বিভিন্ন ধনী এবং প্রভাবশালী পক্ষ । এ পক্ষের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ কিংবা মতামত প্রকাশ গণমাধ্যমের পক্ষে সম্ভব নয় । কেননা,বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গেলে গণমাধ্যমই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ।
১২ . অবকাঠামো ও প্রাযুক্তিক দুর্বলতা
অপর্যাপ্ত অবকাঠামো কিংবা প্রযুক্তিগত ভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের মধ্যে তথ্য ও প্রবাহে অসমতা সৃষ্টি হয় । উন্নত দেশের যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের বিনিময়ে গরীব রাষ্ট্রগুলো উচ্চ কমিশন প্রদান করতে বাধ্য হয় । আবার এর সাথে থাকে নানান শর্ত ।
১৩ . সাংস্কৃতিক বাধা
কিছু উপজাতি এবং নিজস্ব ভাষা ব্যবহারে সংখ্যা লঘু পক্ষ সংরক্ষিত তথ্য প্রবাহের ফলে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় । প্রভাবশালী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষের প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম থেকে তারা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পায় না । কেননা, পরিবেশিত তথ্য তাদের সংস্কৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে না । সংস্কৃতির এই বিষয়টি দরিদ্র দেশ ও উন্নত দেশ উভয়ের ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য ।
১৪ . তথ্যের একমুখী প্রবাহ
তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যে অস্বাভাবিক বা ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার ফলে তথ্য প্রবাহ একমুখী হয়ে পড়েছে । তথ্য, বার্তা, গণমাধ্যম অবকাঠামো সাংস্কৃতিক উপাদান ইত্যাদির প্রবাহ যখন উন্নত দেশ থেকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ, এই একমুখী প্রবাহে প্রভাবিত হচ্ছে । অর্থনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক ক্ষমতা, প্রাযুক্তিক অগ্রগতি ইত্যাদি দেশ থেকে শক্তিশালী উন্নত দেশ এই প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে । এই একমুখী প্রবাহ শুধু বৈশ্বিক পর্যায়ে হচ্ছেনা, জাতীয় পর্যায়েও এই প্রবাহ ক্ষমতাবান থেকে দুর্বল এই একমুখী দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ।
১৫ . উলম্ব প্রবাহ
যোগাযোগ হয় পারস্পরিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে । যার জন্য প্রয়োজন আনুভূমিক তথ্য প্রবাহ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যপ্রবাহে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না । এর পরবর্তীতে উঁচু থেকে নিচু এইএকমুখী উলম্ব প্রবাহ অনুসরণ করা হচ্ছে । অথচ, ভারসাম্য মূলক যোগাযোগের জন্য নিচের স্তরের কথাও শুনতে হয় । আর এ ধরনের উপর তথ্য প্রবাহের ফলে মানুষ স্বাধীনভাবে তথ্য পাচ্ছে না ।
আরো জানুন………..তথ্যের অবাধ প্রবাহ । Free Flow of Information
উপরে উল্লেখিত প্রতিবন্ধকতার কারণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে এই খুঁতগুলো যোগাযোগ প্রবাহকেও করছে বাধাগ্রস্ত । এ বাধাগুলো নিরসনের উপায় নিম্নে আলোচনা করা হল-
তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমূহ নিরসনের উপায়
১ . তথ্য প্রবাহে ভারসাম্য আনায়ন
উন্নত দেশে নিয়ন্ত্রিত একমুখী তথ্য প্রবাহের পরিবর্তে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে তথ্য প্রবাহে ভারসাম্য আনায়ন করতে হবে । স্বল্প আয়ের দেশগুলোর কম অর্থ ব্যয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত দেশের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে তথ্য প্রবাহে ভারসাম্য আনতে পারে ।
২ . তৃতীয় বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও সম্প্রচার মাধ্যম গুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে তাদের দেশের তথ্য ও সংবাদ পরিবেশন করতে পারে ।
৩ . তথ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা
সংবাদ ,টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদি বিনিময়ের জন্য আফ্রিকা এবং এশিয়ায় তথ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ বাধা মুক্ত করা যায় ।
৪ . মাতৃভাষার উপর গুরুত্ব দেওয়া
তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহ তাদের দেশীয় ভাষায় অন্যান্য ভাষাকে রূপান্তর, বোধগম্য এবং সহজীকরণ করে সংবাদ ,অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে সঠিক অর্থ দেয়ার মাধ্যমে তথ্য প্রবাহ বাধা মুক্ত করতে পারে ।
৫ . উন্নত দেশসমূহের সহযোগিতা
ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক একাধিপত্যের স্বার্থ বাদ দিয়ে উন্নত দেশসমূহ অনুন্নত দেশ সমূহের উন্নতিতে সহযোগিতা করে তথ্য প্রবাহ সমস্যা নিরসন করতে পারে ।
৬ . তৃতীয় বিশ্বের আইন ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো
উন্নত দেশের তথ্য ও সাংস্কৃতিক সামগ্রীতে ভোক্তা দেশের সংস্কৃতিক ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং ভোক্তা তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহের আইন মেনে চলার মাধ্যমেও তথ্য প্রবাহ খুঁতমুক্ত করা যাবে ।
৭ . সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মকাণ্ডে শ্রদ্ধা দেখানো
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের কর্মকাণ্ডকে উন্নত পেশার মর্যাদা দেওয়ার মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান , তাদের ওপর হয়রানি ও নির্যাতন ইত্যাদি বন্ধ করে স্বাধীন তথ্য প্রবাহ সম্ভব ।
৮. দমনমূলক আইন ও সরকারী জটিলতা কমানো
মানহানি, অপলেখ, আদালত অবমাননা, দাপ্তরিক গোপনীয়তা ইত্যাদির মতো আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করে এবং আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনিক জটিলতা কমিয়া সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে ।
৯ . যোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন
জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরী যোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ সম্ভব হবে ।
১০ . ম্যাকভ্রাইড কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বিবেচনা করা
ইউনেস্কো কর্তৃক প্রকাশিত ম্যাকভ্রাইড কমিশনের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সমস্যা নিরসনে যে সকল প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তথ্য প্রবাহ অবাধ করা যাবে ।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অবাধ তথ্যপ্রবাহের খুঁতগুলোর কারণে স্বাধীন তথ্য প্রবাহ সম্ভব নয় । মানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য খুঁতগুলোর নিরসন করা সময়ের দাবি ।
No comments