যোগাযোগের ইসলামীকরণ ধারণা । Islamization of Communication
যোগাযোগের ইসলামীকরণ Islamization of Communication
মুসলিম দেশগুলোর যোগাযোগের শিক্ষার্থীরা আমেরিকান কারিকুলামের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পদ্ধতিকে অনুসরণ করে আসছে । তারা আমেরিকান লেখকদের লেখা বইগুলো পড়ে । তাদের বিভাগের অনেক শিক্ষকই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন । গ্রেজুয়েশনের সময় এ শিক্ষার্থীরা আধুনিক যোগাযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করে । তবে এ জ্ঞানের উৎস যেহেতু আমেরিকা তাই এটি আমেরিকান পন্ডিতদের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে । আর তাই এখানে মুসলিম বিশ্বের বাস্তবতা ও পরিস্থিতি প্রতিফলিত হয় না ।
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোন মুসলিম এ সকল সংস্কৃতির ধারণা , তত্ত্ব , মডেল ও নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন নি । তবে ১৯৯০ এ যখন জ্ঞানের ইনলামিকরণ আন্দোলন সক্রিয় ভাবে একাডেমিক ক্ষেত্রে আলোচিতত হচ্ছিল , তখন মুসলিম যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বিশেষ করে মালেশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞগণ এ জ্ঞান গুলোর বৈশ্বিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেন যে, এ সকল জ্ঞান ইসলমিক সত্য ধারণা গুলোর প্রতিফলন করে কিনা ।
এ অধ্যায়ে আমরা যোগাাযোগ সম্পর্কে পশ্চিম থেকে যে সকল জ্ঞান পেয়েছি তার ইসলমিক জ্ঞানের প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করব ।
এ অধ্যায়ে আমরা যোগাাযোগ সম্পর্কে পশ্চিম থেকে যে সকল জ্ঞান পেয়েছি তার ইসলমিক জ্ঞানের প্রয়োজন সম্পর্কে আলোচনা করব ।
The Beginning of Communication Studies in US
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যুক্তরাষ্টের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাংবাদিকতাকে যোগাযোগের বিশেষীকরণ বলে অভিহিত করা হতো । ১৯১২ সালে University of Wisconsin এ প্রথম সাংবাদিকতা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় । এ বিভাগটি ১৯২৭ সালে স্কুল অব জার্নালিজম এ পরিণত হয় ।
১৯৯২ সালে কলম্বিয়াতে আরেকটি সাংবাদিকতা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় । অন্যান্য সাংবাদিকতা স্কুলগুলো বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে Minnesota, North Carolina, Lowa, Illinois, Stamford এবং Michigan রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় । এ স্কুলগুলোতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চেয়ে পেশাদারী পদ্ধতির প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল । Willard G. Bleyer এবং Willber Schamm যোগাযোগ শিক্ষার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পরিচিতি করান ।
Fred S . Siebert Bleyer এর মতে …
Fred S . Siebert Bleyer এর মতে …
Established the first real operating school of journalism with a research orientation at wisconsin .
তিনি সাংবাদিকতা শিক্ষাকে ভোকেশনাল বিষয়ের চেয়ে সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় বলে গুরুত্বারোপ করেছেন।
কিন্তু Willber Schramm যোগাযোগ শিক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন। তিনি communication এর একাডেমিক ইউনিট তৈরি করেন।
১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকে সাংবাদিকতার এ স্কুলগুলো Mass Communication কে তাদের নামের সাথে যোগ করে এবং school of Journalism and Mass Communication নামে পরিচিত হয়।
তিনি সাংবাদিকতা শিক্ষাকে ভোকেশনাল বিষয়ের চেয়ে সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় বলে গুরুত্বারোপ করেছেন।
কিন্তু Willber Schramm যোগাযোগ শিক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন। তিনি communication এর একাডেমিক ইউনিট তৈরি করেন।
১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকে সাংবাদিকতার এ স্কুলগুলো Mass Communication কে তাদের নামের সাথে যোগ করে এবং school of Journalism and Mass Communication নামে পরিচিত হয়।
Communication Studies in Muslim World
১৯৭০ এর দশকে মুসলিম বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাংবাদিকতা যোগাযোগের বিশেষীকরণ বলে পরিচিতি পায়। পূর্বে সাংবাদিক এবং অন্যান্য গণমাধ্যম ব্যক্তিরা নিজেদের কাজ নিয়ে গবেষণা করতেন। অথবা শর্ট কোর্সে অংশগ্রহণ করতেন। পূর্বে শিক্ষিত সাধারণ সদস্যরা সাংবাদিকতায় কাজ করতেন, যাদের কোনরূপ প্রশিক্ষণ ছিল না।
সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রথমদিকের প্রশিক্ষণ পান তারাই যারা ইংরেজি পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
১৯৭০ এর শুরুতে UniversitI Sains Malaysia তে যোগাযোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৭৪ সালে UniversitI Kebangsuan Malaysia এবং UniversitI Pertanian Malaysia তে যোগাযোগ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ সালের দিকে এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম শুরু হয় ।
১৯৯০ এর দশকে যোগাযোগ বিষয়ের আরো বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়ায় ১৯৯১ সালে যোগাযোগ বিভাগ স্থাপিত হয় ।
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্থান দেশ ভাগের সময় লাহরে অবস্থিত পাঞ্চাব বিশ্ববিদ্যালয় উপমহাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যেখানে যোগাযোগ বিষয়ে শিক্ষাদান করা হতো। ১৯৬২ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ শ্রেণিতে যোগাযোগ শিক্ষাকে প্রথম পরিচিত করে তোলা হয়। এদেশে পরবর্তী অনেক বছর এ দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ই ছিল যেখানে যোগাযোগ বিষয়ে পড়ানো হতো।
IMPLICATIONS ON KNOWLEDGE
১৯৭০ সালে জনপ্রিয় রেফরেন্স গুলো ছিল
- paul F. Lazarsfeld, et.al . The people’s Choice: How the Voters Make Up His Mind in a Presidential Campaign, New York : Columbia University Press, 1948.
- Willber Schamm(ed.) Communication in Modern Society .Urbana: University of Illinois Press,1948.
- Willber Schamm (ed) The Process and Effects of Mass Communication , Urbana: University of Illinois Press 1954.
- Willber Schamm, Mass Media and National Development. Stamford ; Stamford University Press, 1964
- Willber Schamm, Men, Message and Media : A Look at Human Communication,New York : Harpet & Row , 1978.
- Fred S. Siebert , Theodore Petterson and Willber Schamm . Four Theories of the Press. Urbana; Unoversity of Illinois Press, 1956.
- Joseph, T. Klapper , The Effects of Mass Communication , New York : Free Press ,1960.
- Daniel Lerner, The Passing of Traditional Society: Modernizing theMiddle East. New York : Free Press, 1965.
এ শিক্ষণ উপকরণগুলো আমেরিকান ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় । এবং তা মুসলিম দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় । আর এ ধারণাগুলো মুসলিম বিশ্বের ধারণাগুলোর সাথে মিলে না । তবে অনেক শিক্ষার্থীই কোন প্রশ্ন ছাড়াই এ ধারণাগুলো কে গ্রহণ করে ।
ISLAMIZATION
জ্ঞানের ইসলামিকরণ পদ্ধতি Ismall Raj al Faruqi এবং Al Atas কর্তৃক নির্দেশিত l Al Faruqi তার সেমিনারে বলেন ,
….. to islamize is to recast knowledge as islam relates to ..i.e. to redefine and reorder the data, to rethink the reasoning and relating of the data ,to reevaluate the conclusions, to reproject the goal- and to do so in such a way as to make the disciplines enrich the vision and serve the cause of islam .
Al Atas দুই ধাপ বিশিষ্ট একটি পদ্ধতির কথা বলেছেন ।
প্রথমত, জ্ঞানের শরীর থেকে বর্তমান বিদেশি উপাদান এবং মূল ধারণা গুলোকে বিচ্ছিন্ন বা অপসরণ করা ।
দ্বিতীয়ত, ইসলামিক উপাদান ও মূল ধারণাগুলো যুক্ত করা ।
যোগাযোগের ইসলামীকরণ পদ্ধতিগতভাবে পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ববিদ্যাকে ইসলামিক জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ব বিদ্যার দিকে ধাবিত করে ।
ইসলমিক জ্ঞানবিদ্যার ধারণাগুলো খোদা , মানুষ,সমাজ, ও মহাজাগতিক আদেশ প্রভৃতির ইসলমিক ধারণার উপর গড়ে ওঠে । পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ব বিদ্যার ধারণাগুলো পাশ্চাত্য দার্শনিকদের চিন্তার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে ।
প্রথমত, জ্ঞানের শরীর থেকে বর্তমান বিদেশি উপাদান এবং মূল ধারণা গুলোকে বিচ্ছিন্ন বা অপসরণ করা ।
দ্বিতীয়ত, ইসলামিক উপাদান ও মূল ধারণাগুলো যুক্ত করা ।
যোগাযোগের ইসলামীকরণ পদ্ধতিগতভাবে পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ববিদ্যাকে ইসলামিক জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ব বিদ্যার দিকে ধাবিত করে ।
ইসলমিক জ্ঞানবিদ্যার ধারণাগুলো খোদা , মানুষ,সমাজ, ও মহাজাগতিক আদেশ প্রভৃতির ইসলমিক ধারণার উপর গড়ে ওঠে । পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা ও তত্ত্ব বিদ্যার ধারণাগুলো পাশ্চাত্য দার্শনিকদের চিন্তার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে ।
ISLAMIZATION OF COMMUNICATION CONCEPTS
যোগাযোগের ইসলমীকরণ , ইসলমিকরণ ধারণার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া উচিত । কারণ , ধারণাগুলো আমাদের যোগাযোগ সম্পর্কিত জ্ঞানকে বাধা দেয় ।
ইসলমিকরণে নির্দেশিত ধাপগুলো হল :
১. পাশ্চাত্য ধারণা গুলোর উৎপত্তি পরীক্ষা করতে হবে এবং তা বুঝতে হবে । ধারণাগুলোর ব্যাখ্যামূলক মূল্যায়ন করে তা ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে সমালোচনা করতে হবে ।
২. কোরআন ,সুন্নাহ্ অথবা মুসলিম পন্ডিতদের লেখা থেকে ধারণাগুলোর ইসলামি সমতুল্যতা খুঁজে বের করতে হবে ।
৩. পাশ্চাত্য ধারণার চেয়ে ইসলামি ধারণা যদি ঐ বিষয়টি আরো ভালভাবে উপস্থাপন করে তবে তা পরিবর্তন করতে হবে ।
৪. যদি কোন সমতুল্য ইসলামিক ধারণা পাওয়া যায় তবে তা পরিবর্তন করতে হবে ।
৫. যদি কোন সমতুল্য ইসলমিক ধারণা পাওয়া না যায়, এবং যদি তা ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির সাথে মিলে যায় তবে তা রেখে দিতে হবে ।
ISLAMIZING COMMUNICATION MODELS
পাশ্চাত্য মডেলগুলো ইসলামিকরণে নির্দেশিত ধাপগুলো হল :
১. মডেলগুলো পরীক্ষা করুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন । মডেলগুলোর ধারণা এবং সম্পূন্নতা মূল্যায়ন করুন। মডেলগুলোর সমালোচনা করুন ।
২. সমতুল্য মডেল মুসলিম পন্ডিতদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখুন ।
৩. মডেলগুলো বিভিন্ন ইসলামিক অবস্থা ও প্রসঙ্গ দ্বারা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করুন ।
ISLAMIZING COMMUNICATION THEORIES
যোগাযোগের ইসলামীকরণ
বিভিন্ন পন্ডিত বিভিন্ন ক্যাটাগরি তে যোগাযোগের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন । এগুলো নির্ভর করে তত্ত্বের পঠভূমির উপর । উদাহরণস্বরূপ Dennis McQuail যোগাযোগ তত্ত্বকে চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন । এগুলো হল –
১. সোসাল সাইন্টিফিক থিউরি
২. নরমাটিক থিউরি
৩. ওপারেটিভ থিউরি
৪. এভরিডে থিউরি
পাশ্চাত্য যোগাযোগ তত্ত্বগুলো ইসলমিকরণের ক্ষেত্রে নির্দেশিত ধাপগুলো হল ।
১. তত্ত্বগুলো পরীক্ষা করুন । তাদের ধারণা , চলক, তত্ত্বগত মতবাদ এবং তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো বুঝতে চেষ্টা করুন ।
২. মুসলিম পন্ডিত দ্বারা ইসলামি ব্যবস্থায় তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত তত্ত্ব তৈরি করা হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখুন ।
৩. মৌলিক বিষয়গুলো খুঁজে বের করুন ।
৪. সমন্বিত ফ্রেমওয়ার্ক থেকে হাইপোথিসিস তৈরি করুন । ইসলামি চলকগুলো যোগ করতে ভুল হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখুন ।
৫. ইসলামি ব্যবস্থায় হাইপোথিসিস গুলোর সত্যতা সমর্থন করুন ।
৬. অন্যান্য ইসলামি ব্যবস্থায় গবেষণাগুলোর প্রতিলিপি করুন ।
৭. ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তত্ত্বের তাত্ত্বিক মতবাদগুলো ভিন্নভাবে তুলে ধরুন ।
ISLAMIZING COMMUNICATION ETHICS
যোগাযোগের ইসলামীকরণ
পাশ্চাত্য যোগাযোগ নীতিসমূহকে ইসলামিকরণের ক্ষেত্রে নির্দেশিত ধাপ সমূহ –
১. পাশ্চাত্য নীতির কোডগুলো পরীক্ষা করুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন । প্রতিটি কোডের দার্শনিক ভিত্তি খুঁজে বের করুন ।
২. ইসলামিক মূল্যবোধগুলো সম্পর্কে জানুন । এটি ইসলামিক নীতির ভিত্তি । কোরআন দেখে এই মূল্যবোধ গুলো খুঁজে বের করুন।
৩.পাশ্চাত্য কোডগুলোর প্রাসঙ্গিকতা ও সম্পূন্নতা পরীক্ষা করুন।
৪. ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পর্কযুক্ত কোডগুলো ভিন্নরূপে মূল্যায়ন করুন ।
৫. যে কোডগুলো অসম্পূন্ন ,সেখানে ইসলামি মূল্যবোধ অনুযায়ী নতুন কোড ব্যবহার করুন ।
ISLAMIZING COMMUNICATION PRINCIPLES AND PRACTICES
পাশ্চাত্য যোগাযোগ নীতি ও ব্যবহারকে ইসলামিকরণে নির্দেশিত ধাপ :
১. পাশ্চাত্য নীতি ও প্রয়োগগুলো পরীক্ষা করুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন ।
২. আরো ভাল নীতি তৈরির জন্য কোরআন ও হাদিস দেথুন ।
৩. নীতির অনুশীলনগুলো ইসলামে অনুমোদন দেয় কিনা তা মূল্যায়ন করুন ।
৪. সমজাতীয় এবং কমগুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলো ইসলামি নীতির সাথে পুনরায় স্থাপন করুন ।
৫. নিষিদ্ধ নীতিগুলো বাদ দিন এবং তা ইসলাম অনুমোদিত নীতির সাথে স্থানান্তর করুন ।
যোগাযোগের ইসলামীকরণ
Reference :
Mohd Yusof Hussain – Islamization of Human Science
No comments