মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব । maslow theory of needs

মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব

সামাজিক সম্পর্ক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী আব্রাহাম মাসলো ১৯৭০ সালে চাহিদা সোপান সোপান তত্ত্বটি দাঁড় করান । এটি এমন একটি প্রেষনা তত্ত্ব যেখানে মনে করা হয় মানুষ পর্যায়ক্রমে পাঁচটি চাহিদা পূরণের প্রত্যাশা করে। এগুলো হলো , দৈহিক, নিরাপত্তা , সামাজিক, আত্মতৃপ্তি ও আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা। নিচে চাহিদাগুলো চিত্রে প্রদর্শন করে আলোচনা করা হলো-


আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা


আত্নমর্যাদার চাহিদা


সামাজিক চাহিদা

নিরাপত্তার চাহিদা

দৈহিক চাহিদা

মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব
মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব

চিত্র ; মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব

অর্থনীতি বিষয়ক আরো আর্টিকেল পেতে এখানে ক্লিক করুন

দৈহিক চাহিদা

নূন্যতম বাঁচার বা জীবন ধারনের প্রয়োজনকে জৈবিক বা দৈহিক চাহিদা বলে। খাদ্য ,পানীয় , বাস্তু বাসস্থান ইত্যাদি এই শ্রেণির চাহিদার অন্তর্ভুক্ত। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরকে কাজে প্রেষিত করার জন্য পর্যাপ্ত বেতন প্রদান বাড়িভাড়া প্রদান এবং কাজের ভালো পরিবেমশ নিশ্চিত করে এই চাহিদা পূরণ করা যায় ।

অর্থনীতি বিষষের আরো আর্টিকেল পেতে এ লিংকে ক্লিক করুন

নিরাপত্তার চাহিদা

দৈহিক প্রয়োজন পূরণের পর মানুষ নিরাপত্তার চাহিদা বেশি বোধ করে। সে নিজেকে ও তার পরিবারকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। এজন্য সে চায় চাকরির স্থায়ীত্ব, কম ঝুকিপূর্ণ কাজ, ভবিষ্যতে নিরাপত্তার ব্যাবস্থা ও নিরাপদে বাঁচার সুযোগ।

সামাজিক চাহিদা

নিরাপত্তাবোধে তৃপ্ত হয়ে তার পরিবার বন্ধু – বান্ধব সহকর্মী ও সমাজের অন্যদের সাথে মিলেমিশে চলতে ও অন্যদের ভালোবাসা পেতে চায়। সে চায় নিজেকে সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে। এ অভাব পূরণের জন্য গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে খাবারের কক্ষ, কমিউনিটির রুম, মানুষের সাথে অধিক মেশার সুযোগ রয়েছে এমন কাজ দলবদ্ধ প্রচেষ্ঠা উৎসাহিত করণ ইত্যাদি ব্যাবস্থা করা যেতে পারে ।

আত্নমর্যাদা চাহিদা

এরপর মানুষ আত্নমর্যাদা পেতে চায়। এ চাহিদা একজন ব্যাক্তির ক্ষমতা , সুনাম, সুখ্যাতি যশ, অহংবোধ ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট। তার এই চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীদের জন্য বড় অফিস, বড় বাসা, সুন্দর গাড়ি প্রতিযোগিতামূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া যায়।

আত্নপ্রতিষ্টার চাহিদা

মাসলোর মতে, মানব চাহিদার শেষ পর্যায়ে রয়েছে আত্নপ্রতিষ্টার প্রয়োজন। এ পর্যায়ে মানুষ তার প্রতিভার সর্বাত্নক রূপায়ণে অগ্রসর হতে চায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীর এ ধরনের প্রত্যাশা পূরণ বেশ জটিল। অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহনের ভার ইত্যাদি প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের কর্মীর আত্ন প্রতিষ্ঠার চাহিদার কিছুটা পূরণ করা যেতে পারে।

কর্মীদের প্রেষনা দেওয়ার ক্ষেত্রে মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব এর সম্পর্ক থাকলেও বর্তমান জটিল কর্ম ক্ষেত্রে তেমন সহায়তা করে না।

Learn More….. নির্ভরশীলতা তত্ত্ব |উন্নয়ন ও নির্ভরতার আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ে নির্ভরশীলতা তত্ত্ব

No comments

Powered by Blogger.