অডিও ও ভিডিও সম্পাদনা । Audio and Video Editing

 Marjan Akter

অডিও ও ভিডিও সম্পাদনা Audio and Video Editing


অডিও সম্পাদনা : Audio Editing

 অডিও সম্পাদনা মাল্টিমিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ । কিছু ক্ষেত্রে ভিডিওর চায়তে অডিওর গুরুত্ব বেশি । কারণ দর্শক অস্পষ্ট অডিও শুনতে  চায় না । লিখিত ডকুমেন্ট সম্পাদনার মৌলিক ধারণাকে ধারন করেই অডিও এডিট করা হয় । মুছে ফেলা, প্রতিস্থাপিত করা, কাঁট ছাঁট , অনুলিপি তৈরি সব ধরনের সম্পাদনার মৌলিক বিষয় । 

অডিও সম্পাদনা হলো ধারনকৃত অডিও ফাইলটি প্রয়োজন অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত করা ,কাঁট ছাঁট , নয়েজ কমানো , এবং শ্রুতিযাগ্য করে তোলা , যাতে শ্রবণ বা দেখার সময় সুখকর হয় ।

অডিও সম্পাদনা যেভাবে করা হয় : 

নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সাথে সাথে অডিও সম্পাদনা সহজ হয়ে উঠেছে । আধুনিক সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার গুলোসহ অডিও সম্পাদনার  আলাদা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে । যা দ্বারা সহজে অডিও সম্পাদনা করা যায় ।


অডিও সম্পাদনাকে  DAW ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশন বলা হয় ।অডিও সম্পাদনাতে সম্পূর্ণরূপে অডিও হতে পারে বা ভিডিওযুক্ত অডিও হতে পারে । ফাইলটিকে সিলেক্ট করে নির্দিষ্ট অ্যাপসের স্লটে নিতে হবে । অপ্রয়োজনীয় বায়ু ,ফাক গুলো মুছে ফেলা , নয়েজ কমানো ,ভলিউম উচু-নিচু করা ,অডিও ওভারলে করার মাধ্যমে অডিও ফাইলটিকে শ্রুতিমধুর করা হয় । এছাড়া অডিও সম্পাদনায় কয়েকটি ছোট আকৃতির ফাইলকেও একত্রিত করে সম্পাদনা করা হয় । প্রয়োজনে ট্রানজিশন যোগ করা হয় । জনপ্রিয় অডিও ইডিটিং সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের জন্য এডোবি অডিশন,গ্যারাজব্যান্ড,লজিক প্রে ম্যাক্স,অডাসিটি । আর মোবাইলের জন্য জনপ্রিয় অ্যাপগুলো হলো ল্যাক্সিস অডিও এডিটর,ওয়েবপ্যাড অডিও এডিটর



অডিও এডিটিং পরামর্শ ও পদ্ধতি 

১. শ্বাস-প্রশ্বাস ,কাশি,অনাকাঙ্খিত শব্দ কেটে ফেলা । 

২. বার বার শোনা যায় এমন ডায়ালগ দূর করা । 

৩. মিউজিক ,ইনট্রো ,আউট্রো যোগ করা । 

৪. স্ট্রেচ ,স্প্লিট,সংক্ষিপ্ত করা । 

৫. ভিজুয়ালের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখা 

৬. প্রয়োজনীয় ফিল্টার ব্যবহার করা 

৭. ভলিউম আপ-ডাওন সম্পর্কে সচেতন হওয়া । 


ভিডিও সম্পাদনা : Video  Editing

 ভিডিও এডিটিং হলো একটি নতুন কন্টেন্ট তৈরির জন্য ধারনকৃত শটগুলোর হের-ফের, আলোর বিন্যাস ও পুনর্বিন্যাস করার প্রক্রিয়া । সাধারণত এটি পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ । 

 

ভিডিও সম্পাদনার কাজসমূহ

১, ক্যামেরার শটগুলো তাদের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সাজানো ।

২. প্রয়োজনীয় শট যোগ করা , অপ্রয়োজনীয় শট বাদ দেওয়া । 

৩. ভিডিওতে কালার কারেকশন করা ।

৪. ভিডিওতে ফিল্টার ব্যবহার ।

৫. সবচেয়ে ভালো ফুটেজ গুলো রাখা ।

৬. অবাঞ্চিত ফুটেজ বাদ দেওয়া ।

৭. একটি ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি করা । 

৮. প্রয়োজনীয়  ইফেক্ট,ভিজ্যুয়াল,গ্রাফিক্স প্রভৃতি ব্যবহার করা ।

৯. প্রয়োজনীয়  মিউজিক বা অডিও  যোগ করা ।

১০. ভিডিওতে স্টাইল,গতি,ভাব নিয়ে আসা

১১. প্রয়োজনীয় ট্রানজিশন ব্যবহার

১২ . ভিডিও সম্পাদনা শেষ হলে বিভিন্ন ফরম্যাটে ভিডিও রেন্ডারিং করা

১৩ . ফলাফল


কাইনমাস্টার : KineMaster

 কাইনমাস্টার হলো ভিডিও এডিটিং এর অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন । এটি গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যায় । এটি দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মিত মাল্টিমিডিয়া এডিটিং সফটওয়্যার । এর সদর দপ্তর দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে । আমেরিকা ,চীন ও স্পেনে এর শাখা অফিস রয়েছে । এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২  সালে । এটি সবসময় আপডেট হতে থাকে । গুগল প্লে স্টোরে ২০২০ সাল পর‌্যন্ত এ  অ্যাপটি ৩৪০ মিলিয়নের বেশি ডাওনলোড হয়েছে ।


কাইনমাস্টার দ্বারা যা করা যায় : 

১. প্রয়োজনীয় অনুপাত অনুযায়ী ছবি ও ভিডিওর ফরম্যাট সিলেক্ট করা যায়। 

২ . একাধিক ভিডিও সংযুক্তি ও ধারাবাহিকভাবে সাজানো যায় ।

৩. লেয়ার: ইফেক্ট,স্টিকার,টেক্সট,লিখন,সাবটাইটেল ছবি ইত্যাদি ভিডিওতে সংযুক্ত করা যায় । 

৪. অডিও রেকর্ড ও সংযুক্ত করা যায় । 

৫. ওভারলে 

৬. ভিডিও ফুটেজ কাট ছাট করা যায়

৭. ট্রান্জিশন 

৮. কালার কারেকশন , এক্সপোজার 

৯. প্যান এবং জুম 

১০. ভিডিও এডিটিং টুলস:  স্পিড,রোটেট,ফিল্টার, রিভার্স ,ভিনটেজ,স্লিট 

১১. গ্রাফিক্স সংযুক্তি 

১২.  অডিও টুলস : ভলিউম আপ-ডাওন ,অডিও ফিল্টার ভয়েস চেঞ্জার । 

১৩ বিভিন্ন রেজুলেশনে ফাইল সেভ ও শেয়ার


লেখক : শিক্ষার্থী,৪র্থ বর্ষ (২৪ তম ব্যাচ)

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

No comments

Powered by Blogger.